News Ticker

Menu

Browsing "Older Posts"

Browsing Category " গল্পসমূহ "

সে আমাকে ভালবাসে ???

Tuesday, July 9, 2013 / No Comments
ভোরে উঠে নাস্তা বানানো, দুপুরের খাবার তৈরি করা, তারপর চটজলদি রেডি হয়ে দুজন দুদিকে অফিসের পথে। ফিরতে ফিরতে সেই সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। আবার রান্না, ঘর গোছানো, একে তো টানাটানির সংসার আর তারপরও সজলটার আজকাল কি যেন হয়েছে। বৃষ্টির কোনো কথাই সে ভালোভাবে নিতে পারেনা।
ছোট ছোট কথা রীতিমত ঝগড়ায় গিয়ে শেষ হয়, প্রায় নিয়মিতই হচ্ছে এমন। অনেক প্রিয় সংসারের এই হাল হবে...এটা কখনো ভাবেনি ওরা। মাঝে মাঝে দুজনেরই মনে হয় সব ছেড়ে চলে যেতে। তারপরও কী এক টানে আর যাওয়া হয় না।
মাঝে মাঝে দুজনই ভাবে এই সম্পর্ক হয়তো শুধু শুধুই টিকে আছে, বৃষ্টি বা সজল আর একজন আরেকজনকে ভালোবাসে না।
এমন অবস্থায় কি হয়, আসলেই প্রিয় মানুষটির প্রতি আর কোনো ভালোবাসা অবশিষ্ট থাকে না? সজলের বাড়ি ফিরতে দেরি করা অথবা বৃষ্টির অকারণ রাগের আড়ালে কি আদৌ লুকিয়ে আছে ভালবাসার কিরণ? আসুন জানতে চেষ্টা করি:
রাত দিন পরিশ্রম করে একটি প্রোজেক্ট দাঁড় করানোর পর অফিসের বস যখন তার খুব প্রশংসা করলেন, আনন্দে বসের রুম থেকে বেরিয়েই সকালে ঝগড়া করে যার সঙ্গে থাকবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রথম ফোনটা সেই তাকেই দিলেন? খেয়াল করে দেখুন, উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তবে জেনে রাখুন ভালোবাসা আছে।
অনেক কাজের চাপে যখন একটু সময় পাওয়া যায় তখন কার সাথে ঘুরতে যাওয়ার প্লান করতে সবচেয়ে ভালো লাগে, সেই সজলের সাথেই? তো এই ভালোলাগার অনুভূতি ভালোবাসা ছাড়া আবার কী!
একসঙ্গে অনেকগুলো বছর কাটানোর পরেও তার মুখের হাসি, আপনাকে দোলা দেয়? নিশ্চিন্ত থাকুন, প্রেম এখনও আপনাদের ছেড়ে যায়নি।
কোনো কারণে একজন না থাকলে কি আপনি নিজের নির্ধারিত জায়গায় শুয়ে, মিস করেন ওকে? উত্তর হ্যাঁ হলে আর ভাবনা নেই। ভালবাসার মানুষকেই তো আমরা এতটা প্রাধান্য দেই।
বেশ কয়েকবার ফোন করার পরও যদি অন্যজন ফোন রিসিভ না করে তবে কি আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন? ভালোবাসা যাচাইয়ের মাপকাঠি আসলে এগুলোই।
প্রতিটি সম্পর্কেই মাঝে মধ্যে টানাপোড়েন দেখা যায়। ছোট ছোট খুনশুটি যেন বড় আকারে না যায়, সে বিষয়গুলো দুজনকেই মাথায় রাখতে হবে। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, নিজের সিদ্ধান্তই সব সময় সঠিক, অন্যজন কিছুই বোঝেনা, এধরনের মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে এসে ভালোবাসায় ভরে তুলুন...ভালোবাসার ছোট্ট ভুবন।

গল্প - সমাপ্তিময় ভালোবাসা কিংবা অনন্তকালের সঙ্গি

Thursday, June 20, 2013 / No Comments
বাংলা গল্প - bangla love story
"আপনি ওনার কে হন?"
"জি উনি আমার হাসবেন্ড"
"উনিকি এর আগে কখনো মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন??"
"আমার জানামতে পায়নি। কেনো ডাক্তার সাহেব?? কোন সমস্যা??"
চিন্তিত মুখে ড. আহমেদ সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখছেন অনেক আগে থেকেই। বুঝতে পারছি না। কিছু বলবেন বলবেন করেও বলছেন না। এদিকে পাগলাটার চিন্তায় আমি অস্থির্। কয়েক সপ্তাহ থেকেই মাথা ব্যাথা মাথা ব্যাথা করছে। আরো আগেই আসা উচিত ছিলো। কিন্তু পাগলামি করতে করতে সময় পার করেছে। গত মাসের আগের মাসে বাইক এক্সিডেন্ট করেছিলাম আমরা। ওর মাথায় খানিকটা চোট লাগা ছাড়া কিছুই হয়নি। আমার হাতে প্লাস্টার নিয়ে বাইশ দিন বসে থাকতে হয়েছে। বুঝতে পারছিনা ওই সময়ই কি পাগলা কোন অঘটন ঘটিয়েছে কিনা। এদিকে ওনারতো কোন খবরি নেই। ওনার টেস্ট এর রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়চ্ছি আমি।

গল্পু : পুতুল মা !!

Sunday, June 16, 2013 / No Comments
আজ ক্লাসে কিছুতেই মন বসাতে পারছেনা কুশিয়ারা ।চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া পিচ্চি মেয়েটির চোখে মুখে দারুন উত্কদন্ঠা কারোরই চোখ এড়ায়না ।বাংলা ক্লাসে ওকে অমনোযোগি দেখে স্যারকাছে ডেকে জানতে চাইলেন কি হয়েছে ওর? এমনতো কখনোই হয়না,আজকের পড়াটাও বলতে পারেনি সে। বরাবরই প্রথম হওয়া কুশিয়ারার মুখে শুনা গেলো ওর মনখারাপের কারণ। মায়ের খুব শরীর খারাপ। বাড়িতে আজ বাবাও নেই। স্যার শুনেই ওদের দুবোনকে ছুটি দিয়ে দিলেন ।ওর ছোট বোন মেঘনা একই স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে।


ওর বাবা ছোটখাটো সাহিত্যিক সামিউর রহমান বেশ কিছুদিন হলো ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করছেন ।একটা জাতীয় পত্রিকায় তার কয়েকটা কবিতা গল্প ছাপা হলে তার মাথায় ভুত ছাপে কবিতার বই বের করার। এই জন্যই প্রকাশকদের দরবারে দেন দরবার করতে ঢাকায় ছোটাছুটি।

গল্প : ভালবেসে নাম দেওয়া

/ No Comments

থাপড়ায় দাঁত উল্টায় দিব মেয়ে ,কতবার বলেছি আমার রুমে ঢুকবে না ।
- আমি কি করব , কেরামত পাঠালো ।
- কেরামত পাঠালো না ! দ্বারাও ও’র কেরামতি বার করতেছি । তুমি এখনও যাও নাই,বেরোও !!!!!!
- স্যার চা টা ।
-হ্যাইত(ধমক) তোর চা বের হ . . . . .. . .পিন্টু সাহেব ।
মাঝারি গরন ,খোঁচা খোঁচা দাড়ি ,এক কালচে । তবে দেখতে সুন্দর ।এনাকে রাগী বলা যায় আবার যায় না । যায় না এই কারনে যে তিনি শুধু মেয়েদের দেখতে পারেন না । তার চোখের বিষ এই মেয়েরা । কাজে অত্যন্ত নিষ্ঠ কিন্তু কোন মেয়েকে সামনে পেলে অফিসের বারোটা বাজায় তারপর ছাড়েন । কাজে দক্ষ এবং মনযোগী বলেই তার চাকরীটা আছে ,তা না হলে কবেই চলে যেত । সবাই বিষয়টা মোটামুটি জানে কিন্তু তবুও কেরামত আর লিপি মিলে ওনাকে মাঝে মাঝেই ক্ষ্যাপাইয় আর মজা নেয়।

গল্প : পুতুল পুতুল মেয়েটা

/ No Comments

এই মেয়ে এখানে কী?
-স্লামালাইকুম আংকেল। এটা কী পাভেলদের বাড়ি?
না এটা আমার বাড়ি!
-আপনার বাড়িতে পাভেল থাকে?
গতকাল ছিল, আজকে নেই।
-আংকেল উনি কি এখন সেন্ট্রাল জেলে আছেন?


মাহবুব সাহেবের মেজাজ কিছুটা ঠান্ডা হয়ে আসে। মেয়েটা একদম তার মনের কথা বলেছে। তার বড় ছেলের নাম পাভেল। ছেলে বললে ভুল হবে। পাভেল একটা গরু ছাগল। নামীদামী প্রাইভেট ভার্সিটিতে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে এম বি এ পাশ করেছে। সিজিপিএ দুর্দান্ত। এ ছেলের অন্যান্য বিষয়েও মাথা ভালো। মানুষকে অবাক করে দেয়ার যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। গিটার বাজিয়ে গান গাইতে পারে। তার অফিসের পার্টিতে গান গেয়ে একপাল বেলাজা মহিলা ভক্ত জুটিয়েছিল। ভাগ্যদোষে সেইসব মহিলাদের ভাবী বলে ডাকতে হয়। কলিগ বন্ধুদের বাসায় গেলে ঢং করে। মাহবুব ভাই আপনার বড় ছেলেটাকে সাথে করে আনলেননা কেন! হি ইজ সো কুল!

গল্প : একটু একটু ভাল লাগা... তারপর শুধুই ভালবাসা

/ No Comments
কলেজের প্রথম বছর ছিল… পরিচয় হল… বন্ধুত্ব হলো… ভাল লাগলো… তারপর প্রেম নিবেদন… তারপর শুধুই ভালবাসা। নাহ্! এত নিরামিষ ছিল না আমাদের গল্প| এত নিরামিষ হলে হয়তো এভাবে সাতটা বছর পার করে দিতে পারতাম না দুজনে| সেই সাত বছর আগের কথা…। কিছুদিন
গল্প : একটু একটু ভাল লাগা... তারপর শুধুই ভালবাসা

পর্ব : ১
হলো কলেজে ভর্তি হয়েছি। হঠাৎ অপরিচিত কারো একটা ই-মেইল নজরে পরলো । খুব সহজ একটা ধাঁধা লেখা ছিল ই-মেইলে| সাথে একটা মোবাইল নাম্বারো ছিল, আর লেখা ছিল যদি ধাঁধার উত্তর জানা থাকে তাহলে যেন সেই নাম্বারে পাঠিয়ে দিই| ধাঁধার উত্তর লিখে পাঠিয়ে দিলাম আর জানতে চাইলাম তার পরিচয়, তবে ই- মেইলের উত্তর ই-মেইলেই… মোবাইলে দিয়ে নিজের মোবাইল নাম্বারটা একটা অপরিচিত মানুষকে দিয়ে বিপদে পরবো নাকি!!?? কিছুদিন পর আবিষ্কার করলাম ছেলেটা আমার সেকশনেরই! কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না কে সেই শাখামৃগ যে আমাকে এত দুশ্চিন্তায় ফেলে দূরে বসে মজা নিচ্ছে...!!??

গল্প - নেশা

/ No Comments
আমার পছন্দের মানুষটিকে বহু চেষ্টা তদবির করে বিয়ে করেছি। তবে বন্ধু মহল বলে থাকে আমি নাকি ‘ইয়ে’ করে বিয়ে করেছি! আসলে ইয়ে টিয়ে কিছুই করিনি শুধু চোখে চোখে রেখেছিলাম যাতে আমার আকাঙ্খার ধন হাত ছাড়া না হয়ে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেম করে যারা বিয়ে করে তাদের বিয়ে টিকে কম! যদিওবা বংশ মর্যাদা বা ইজ্জতের ভয়ে সংসার নামক বিস্ময়কর ঘরটি টিকে যায় তবে অশান্তির দাবানল নাকি সারাক্ষণ ঘরটিকে পুড়তে থাকে।

এর ব্যতিক্রম আছে। গবেষকরা বলেছেন, বেশীরভাগ প্রেমের বিয়ে তিন বছরের মধ্যে গুটিয়ে যায় আর যদি কোনোভাবে পাঁচ বছর পেরোতে পারে তাহলে ভয় নেই, সংসার টিকে যাবে

গল্প - এমনও দিনে তারে বলা যায়

Tuesday, June 11, 2013 / No Comments
শারমিন বাইরে বের হল।আজ পাঁচ দিন হল মামাবাড়িতে বেড়াতে এসেছে।বাসার সামনে সুন্দর একটা পার্ক।পার্কের বেঞ্চে বসে হাওয়া খেতে আর চারপাশের গাছপালা দেখতে তার ভালই লাগে।


পার্কে ঢুকে দেখল প্রতিদিন যে বেঞ্চে বসে সেখানে একটা ছেলে বসে সিগারেট ফুঁকছে।এই জিনিসটাকে সে একদম সহ্য করতে পারে না।কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর কেমন যেন চেনা চেনা মনে হল।একটু এগিয়ে গিয়ে বুঝতে পারল ছেলেটা তাদের সেকশানের।নাম সম্ভবত আকাশ।

একটি গাঁয়েহলুদ,একটি পুরনো পরিচয় ও কিছু কথা "গল্প"

/ No Comments
আমি আসার পর থেকে বার তিনেক চোখাচোখি হল।আমার দিকে চোখ পড়তেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল প্রতিবারই। কেয়ারফুল কেয়ারলেস ইগনোরেন্স।খুব মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম ওকে। নাহ বিয়েতে ওর মোটেও অমত নেই।কি সুন্দর হাসিখুশি চেহারা। কথায় কথায় হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।হাসলে দুই গালেই টোল পড়ে। কতদিন এই দৃশ্য দেখার জন্য হা করে তাকিয়ে থেকে ওর কাছে ধরা খেয়েছি।হাসিহাসি মুখটা অদ্ভুত ভাবে আমার দিকে তাকাতো তখন।আমি সুন্দর এটা তো আমি জানিই,তাই বলে এভাবে সবসময় আমার দিকে তাকায় থাকবা?-ওর অদ্ভুত দৃষ্টির বঙ্গানুবাদ আমি পড়তে পারতাম।
এই মেয়েটারই কি বিয়ে হতে যাচ্ছে?এই মেয়েরই কি গাঁয়ে হলুদ হচ্ছে? চোখের সামনে দৃশ্যমান ঘটনাও অনেক সময় কাল্পনিক লাগে। বুকের বাম পাশটায় হালকা চাপ অনুভব করি।ম্যাজিক কার্পেট বা রোলার কোস্টার রাইডে উঠলে যখন দিগ্বিদিক জ্ঞান লোপ পায়,মৃত্যু চিন্তার একটা হালকা শিহরণে বুকে কাঁপন দিয়ে উঠে,আমার ঠিক সেরকম লাগে। সমস্ত পৃথিবীটা একটা কেন্দ্রে আবদ্ধ থেকে যেন ঘুরপাক খাচ্ছে।