জীবন সঙ্গী নির্বাচন করুণ সতর্কভাবে

অফিসের বস: আপনার অফিসের বস প্রথমে যতই মিষ্টি আর ভালো ব্যবহার করুক। তাকে জীবন সঙ্গী করা যায় এমন চিন্তা থেকে দূরে থাকাই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো। কারণ মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সে সব সময় আপনাকে কীভাবে উচ্চাভিলাষী হওয়া যায়, আপনি অন্যদের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্ক রক্ষা করবেন, বন্ধুদের সঙ্গে আচরণ কেমন হবে, কার সঙ্গে কেমন করে কথা বলতে হবে, সেসব বিষয়ে টিপস্ দিতে শুরু করবে।
যার কথা ধারণা করে নিতে হয়: যে কখনোই কোনো কথা সরাসরি বলে না। সবকিছুতেই যার কথা ধারণা করে নিতে হয়, যে আসলে এই কথা বোঝাতে চাইছে। আপনাকে সে পছন্দ করে কি না অথবা সে আপনার সম্পর্ককে কতোটা সিরিয়াস ভাবে নিয়েছে এবিষয়গুলোও যদি স্পষ্ট না হতে পারেন, তবে এই নারীর সঙ্গে সারাজীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও একবার ভাবুন।
যে আপনাকে নিজের মতো তৈরি করে পেতে চায়: খাদ্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত সব কিছুতেই প্রতিটি মানুষের আলাদা পছন্দ রয়েছে। আপনার চিরদিনের অভ্যেসগুলো ত্যাগ করে সম্পূর্ণ অন্য জনের মতো হয়ে যাওয়া কি সম্ভব না সেটা কারও চাওয়া উচিৎ? আর এই শর্ত মেনে আপনি যদি তাকে আপন করে নিতে চান, তবে কোনো বিষয় অমিল হলেই হয়তো সে মনে করবে আপনি মস্তবড় অন্যায় করেছেন। এভাবে কী সুখে থাকা যাবে? আর তাই...
স্বার্থপর, ঈর্ষাকাতর: তিনি আপনাকে সবসময় একটা চাপের মধ্যে রাখতে চাইবেন। সেই সাথে নিজেকে আপনার সঙ্গে অনিরাপদ মনে করবেন। আপনি অন্য কোনো মেয়ে এমন কি আত্মীয়, বন্ধু বা নারী সহকর্মীর সঙ্গে কথা বললেও সে ভালোভাবে নেবে না। ফলে সংসারে অশান্তি নিয়মিতই হতে থাকবে, এজন্য সময় থাকতেই এমন জীবনসঙ্গি বেছে না নেওয়াই ভালো।
শুধুই তোমার জন্য আমার বেঁচে থাকা: যে সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর নির্ভরশীল, তার সুখ এবং বেঁচে থাকা আপনার ওপর নির্ভর করে, তার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সে সারাক্ষণ আপনার কাছে আশা করবে যে প্রতি ঘণ্টায় আপনি কি করছেন তার আপডেট জানাবেন, কিছুক্ষণ পরপর ফোন করে তার খবর জানবেন, যেহেতু তার নিজের কোনো কাজ থাকবে না, তাই সে আপনার বিষয়ে অতিমাত্রায় লক্ষ্য রাখবে আর এগুলো আপনার কাছে একসময় বিরক্তিকর মনে হবে। সে চাইবে আপনি তাকে প্রতিদিন অন্তত ১০০ বার বলবেন `আমি তোমায় ভালোবাসি`। কিন্তু কোনো কারণে আপনার আচরনে কোনো পার্থক্য হলে সে মনে করবে তার পৃথিবীটাই বুঝি শেষ হয়ে গেল।
আমার বাবা-মা সবকিছু সিদ্ধান্ত নেবে: যে মেয়ে সবসময় তার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য তার বাবা-মায়ের ওপর নির্ভরশীল। এটা বিয়ের পরেও যদি সে কনটিনিউ করতে চায় তবে আপনাদের অর্থনৈতিক এবং ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তগুলোতেও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে, যা আপনার ভালো লাগার তেমন কোনো কারণ নেই।
মানুষ আমাদের চেয়ে সুখী হয়: ইনি ক্রমাগত অন্যদের সঙ্গে তার জীবনের তুলনা করে থাকেন, তার বন্ধুরা আপনার চেয়ে বেশি ধনী, বেশি সুখী এবং আপনার চেয়ে সফল। বারবার যখন এ বিষয়গুলো আপনার সামনে তুলবে তখন ভেতরে ভেতরে দুজনই কষ্ট পাবেন। তবে এই কষ্ট নিরব থেকে সরব হতে খুব বেশি সময় নেবে না।
তাই জীবনে সুখী হতে চাইলে যে ভালোবাসবে এবং বাস্তবতাও বুঝবে এমন কাউকে বেছে নিন।
No Comment to " জীবন সঙ্গী নির্বাচন করুণ সতর্কভাবে "